विवेचन सारांश
।। সৌভাগ্যবান অর্জুনের বিশ্বরূপ দর্শন ।।
একাদশ অধ্যায়ের নাম " বিশ্বরূপ দর্শন যোগ " বা ভগবানের মহাজাগতিক রূপ যা দর্শন করেছেন অর্জুন ।
পরম্পরাগত দীপ প্রজ্জ্বলন, গুরু বন্দনা এবং ঈশ্বর স্মরণ ও প্রার্থনা দ্বারা আজকের বিবেচন সত্র শুরু হলো। ভগবদগীতা প্রকৃত অর্থে মনোমুগ্ধকর -- আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও বাস্তব জ্ঞানের মেল-বন্ধন।এ হলো মহৎ এবং সর্বোচ্চ জ্ঞান। সনাতন ধর্মে এই গ্রন্থই সবচেয়ে সম্মানিত। এই গ্রন্থ দৈবত্ব বর্ণনা করে, কর্মের মহত্ত্ব বোঝায় এবং শ্রদ্ধা -ভক্তির সূক্ষ্মানুভূতি শেখায়, জ্ঞানের যে শক্তি তার বর্ণনা করে। এই পরম আধ্যাত্মিক জ্ঞান শ্রী ভগবান তাঁর প্রিয় বন্ধু অর্জুন কে দিয়েছিলেন। সেই সময় অর্জুন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন ও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। অর্জুন কে কর্ম,ভক্তি ও জ্ঞান যোগ ব্যাখ্যা করার পরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে আরও কিছু জ্ঞানের পথ দেখাতে চাইলেন। শ্রীকৃষ্ণ ভাগবদগীতা অধ্যায় ক্রমান্বয়ে বলেন নি.. বরং এ যেন মহান দুই বন্ধুর বিষয় -ভিত্তিক কথোপকথন। দুই বন্ধুর মধ্যে অর্জুন হলেন শ্রীকৃষ্ণের গুণমুগ্ধ অনুসরণকারী। আবার অর্জুন হলেন শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত স্নেহভাজন, তাই কিছু গুহ্য তত্ত্বজ্ঞান ও তিনি অর্জুনের কাছে প্রকাশ করেছেন।
দশম অধ্যায়ে বিভূতি যোগে অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক গুণাবলী শুনেছেন। বিভূতি যোগ হলো ভগবানের অনন্ত ঐশ্বর্য, মহিমা ও গুণের বর্ণনা। দশম অধ্যায়ের শেষ শ্লোকে বলেছেন --
অর্থ : ভগবান বলেছেন -- আমি যতটাই বর্ণনা করি না কেন, সেটা সামান্য অংশ। আমি সকলের বোধগম্যতার অতীত। আমি - ই সব। সবকিছুর সৃষ্টি আমাতে, লয় ও আমার মধ্যে। আমি ই সবকিছুর কারণ।
হিন্দি তে একটা ফ্রেজ আছে ... "सब जेब में डाल के घुमते हैॅ "। যার অর্থ হলো -- পকেটে সবকিছু নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। শ্রীকৃষ্ণের ক্ষেত্রে তা হলো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড।
বিভিন্ন প্রকার বিভূতির কথা শুনে অর্জুনের ইচ্ছা হলো ভগবানের ঐশ্বর্য্যমণ্ডিত বিশ্বরূপ নিজে চাক্ষুষ করার। শুধু বর্ণনা শুনে ক্ষান্ত হতে পারলেন না অর্জুন।
অর্জুনও বুঝতে পেরেছিলেন এতোদিন ধরে তিনি যে কৃষ্ণ কে জানতেন তা তাঁর সত্ত্বার মাত্র এক অংশ। আসলে তিনিই অসীমের মতো সমস্ত জুড়ে আছেন। তিনি যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সেই সর্বব্যাপী সম্পূর্ণ রূপ প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। শ্রী ভগবানও অর্জুনের মধ্যে সত্যিকারের অনুসন্ধিৎসা দেখলেন এবং তিনিও চাইলেন তাঁর অতি প্রিয় বন্ধু অর্জুন কে আরও কিছু দিতে। এই একাদশ অধ্যায়ে শ্রী ভগবান তাঁর মহাজাগতিক রূপ অর্জুনের সামনে প্রকাশ করেছেন। এই অধ্যায়েই আমরা দেখবো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে দিব্যদৃষ্টি প্রদান করেছেন তাঁর সেই অকল্পনীয় রূপ দর্শন করার জন্য। তখনও পর্যন্ত অর্জুন জানতেন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বন্ধু - পথ প্রদর্শক ও তাঁর জীবনের দার্শনিক। সেই শ্রীকৃষ্ণের এই বিশাল রূপ দর্শন করে অর্জুন বিস্ময়াবিষ্ট। সেই রূপে রয়েছে হাজার সূর্যের তেজ। সেই অনন্ত রশ্মির শুরু ও নেই, অন্ত ও নেই, এবং অসংখ্য মহাবিশ্ব ধারণ করে ছিলেন ।
এর আগেও শ্রী ভগবান তাঁর বিশ্বরূপ দেখিয়েছেন নিজের মা যশোদা দেবী কে। শ্রী ভাগবতমে আমরা এই সুন্দর ঘটনা টা পাই। বাল্যকালে কৃষ্ণের গোকুলবাসী বন্ধুরা যশোদা মায়ের কাছে তাঁর দুষ্টুমি নিয়ে প্রতিদিন ই অভিযোগ জানাতো। একদিন তারা মা কে জানালো যে কৃষ্ণ মাটি খেয়েছে। মা জিজ্ঞাসা করতেই কৃষ্ণ জানিয়ে দিলেন যে তিনি এরকম কাজ করেন নি। যদি মায়ের বিশ্বাস না হয় তাহলে তিনি মুখ খুলে দেখাতেও রাজী আছেন । বালক কৃষ্ণ ভেবেছিলেন তাঁর মা নিশ্চয়ই সকলের সামনে তাঁকে মুখ খুলে দেখাতে বলবেন না। কিন্তু, আশ্চর্যজনক ভাবে মা তাঁর মুখের ভিতর দেখতে চাইলেন। শ্রীকৃষ্ণ হাঁ করলেন এবং মা যশোদা বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে দেখলেন সেই মুখের ভিতর সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব, ব্রহ্মাণ্ড... অসংখ্য গ্রহ, নক্ষত্র । তিনি হতবিহ্বল হয়ে জ্ঞান হারালেন। শ্রীকৃষ্ণ মুখ বন্ধ করে বললেন... আমি তো পুরো ব্রহ্মাণ্ড ই খেয়ে নিতে পারি, আর সামান্য মাটি খেতে পারবো না !! এই হলো কৃষ্ণলীলা।
পরম্পরাগত দীপ প্রজ্জ্বলন, গুরু বন্দনা এবং ঈশ্বর স্মরণ ও প্রার্থনা দ্বারা আজকের বিবেচন সত্র শুরু হলো। ভগবদগীতা প্রকৃত অর্থে মনোমুগ্ধকর -- আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও বাস্তব জ্ঞানের মেল-বন্ধন।এ হলো মহৎ এবং সর্বোচ্চ জ্ঞান। সনাতন ধর্মে এই গ্রন্থই সবচেয়ে সম্মানিত। এই গ্রন্থ দৈবত্ব বর্ণনা করে, কর্মের মহত্ত্ব বোঝায় এবং শ্রদ্ধা -ভক্তির সূক্ষ্মানুভূতি শেখায়, জ্ঞানের যে শক্তি তার বর্ণনা করে। এই পরম আধ্যাত্মিক জ্ঞান শ্রী ভগবান তাঁর প্রিয় বন্ধু অর্জুন কে দিয়েছিলেন। সেই সময় অর্জুন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন ও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। অর্জুন কে কর্ম,ভক্তি ও জ্ঞান যোগ ব্যাখ্যা করার পরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে আরও কিছু জ্ঞানের পথ দেখাতে চাইলেন। শ্রীকৃষ্ণ ভাগবদগীতা অধ্যায় ক্রমান্বয়ে বলেন নি.. বরং এ যেন মহান দুই বন্ধুর বিষয় -ভিত্তিক কথোপকথন। দুই বন্ধুর মধ্যে অর্জুন হলেন শ্রীকৃষ্ণের গুণমুগ্ধ অনুসরণকারী। আবার অর্জুন হলেন শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত স্নেহভাজন, তাই কিছু গুহ্য তত্ত্বজ্ঞান ও তিনি অর্জুনের কাছে প্রকাশ করেছেন।
দশম অধ্যায়ে বিভূতি যোগে অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক গুণাবলী শুনেছেন। বিভূতি যোগ হলো ভগবানের অনন্ত ঐশ্বর্য, মহিমা ও গুণের বর্ণনা। দশম অধ্যায়ের শেষ শ্লোকে বলেছেন --
অথবা বহুনৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবার্জুন।
বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ ।।
বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ ।।
অর্থ : ভগবান বলেছেন -- আমি যতটাই বর্ণনা করি না কেন, সেটা সামান্য অংশ। আমি সকলের বোধগম্যতার অতীত। আমি - ই সব। সবকিছুর সৃষ্টি আমাতে, লয় ও আমার মধ্যে। আমি ই সবকিছুর কারণ।
হিন্দি তে একটা ফ্রেজ আছে ... "सब जेब में डाल के घुमते हैॅ "। যার অর্থ হলো -- পকেটে সবকিছু নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। শ্রীকৃষ্ণের ক্ষেত্রে তা হলো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড।
বিভিন্ন প্রকার বিভূতির কথা শুনে অর্জুনের ইচ্ছা হলো ভগবানের ঐশ্বর্য্যমণ্ডিত বিশ্বরূপ নিজে চাক্ষুষ করার। শুধু বর্ণনা শুনে ক্ষান্ত হতে পারলেন না অর্জুন।
অর্জুনও বুঝতে পেরেছিলেন এতোদিন ধরে তিনি যে কৃষ্ণ কে জানতেন তা তাঁর সত্ত্বার মাত্র এক অংশ। আসলে তিনিই অসীমের মতো সমস্ত জুড়ে আছেন। তিনি যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সেই সর্বব্যাপী সম্পূর্ণ রূপ প্রত্যক্ষ করতে চেয়েছিলেন। শ্রী ভগবানও অর্জুনের মধ্যে সত্যিকারের অনুসন্ধিৎসা দেখলেন এবং তিনিও চাইলেন তাঁর অতি প্রিয় বন্ধু অর্জুন কে আরও কিছু দিতে। এই একাদশ অধ্যায়ে শ্রী ভগবান তাঁর মহাজাগতিক রূপ অর্জুনের সামনে প্রকাশ করেছেন। এই অধ্যায়েই আমরা দেখবো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন কে দিব্যদৃষ্টি প্রদান করেছেন তাঁর সেই অকল্পনীয় রূপ দর্শন করার জন্য। তখনও পর্যন্ত অর্জুন জানতেন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বন্ধু - পথ প্রদর্শক ও তাঁর জীবনের দার্শনিক। সেই শ্রীকৃষ্ণের এই বিশাল রূপ দর্শন করে অর্জুন বিস্ময়াবিষ্ট। সেই রূপে রয়েছে হাজার সূর্যের তেজ। সেই অনন্ত রশ্মির শুরু ও নেই, অন্ত ও নেই, এবং অসংখ্য মহাবিশ্ব ধারণ করে ছিলেন ।
এর আগেও শ্রী ভগবান তাঁর বিশ্বরূপ দেখিয়েছেন নিজের মা যশোদা দেবী কে। শ্রী ভাগবতমে আমরা এই সুন্দর ঘটনা টা পাই। বাল্যকালে কৃষ্ণের গোকুলবাসী বন্ধুরা যশোদা মায়ের কাছে তাঁর দুষ্টুমি নিয়ে প্রতিদিন ই অভিযোগ জানাতো। একদিন তারা মা কে জানালো যে কৃষ্ণ মাটি খেয়েছে। মা জিজ্ঞাসা করতেই কৃষ্ণ জানিয়ে দিলেন যে তিনি এরকম কাজ করেন নি। যদি মায়ের বিশ্বাস না হয় তাহলে তিনি মুখ খুলে দেখাতেও রাজী আছেন । বালক কৃষ্ণ ভেবেছিলেন তাঁর মা নিশ্চয়ই সকলের সামনে তাঁকে মুখ খুলে দেখাতে বলবেন না। কিন্তু, আশ্চর্যজনক ভাবে মা তাঁর মুখের ভিতর দেখতে চাইলেন। শ্রীকৃষ্ণ হাঁ করলেন এবং মা যশোদা বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে দেখলেন সেই মুখের ভিতর সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব, ব্রহ্মাণ্ড... অসংখ্য গ্রহ, নক্ষত্র । তিনি হতবিহ্বল হয়ে জ্ঞান হারালেন। শ্রীকৃষ্ণ মুখ বন্ধ করে বললেন... আমি তো পুরো ব্রহ্মাণ্ড ই খেয়ে নিতে পারি, আর সামান্য মাটি খেতে পারবো না !! এই হলো কৃষ্ণলীলা।
11.1
অর্জুন উবাচ
মদনুগ্রহায় পরমং(ঙ্), গুহ্য়মধ্য়াত্মসংজ্ঞিতম্
য়ত্ত্বয়োক্তং(ম্) বচস্তেন, মোহোऽয়ং(ম্) বিগতো মম॥1॥
অর্জুন বললেন—হে ভগবান ! আমার প্রতি অনুগ্রহ করে আপনি যে পরম গুহ্য অধ্যাত্মতত্ত্ব বললেন, তাতে আমার মোহ দূর হয়েছে।
অর্জুন ভগবানের কাছে স্বীকার করেছেন -- যে ভগবান তাঁর প্রতি সদয় হয়ে ( মদনুগ্রহায়).. সর্বোচ্চ ( পরম) , গোপনীয় ( গুহ্য) জ্ঞান প্রদান করেছেন এবং তার ফলে অর্জুনের অজ্ঞানতা সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে -- তাঁর বুদ্ধি জাগ্রত হয়েছে। যেমন আলোর স্পর্শে কালো অন্ধকার দূর হয়ে যায় -- তেমনই তাঁর মোহমুক্তি হয়েছে । অর্জুন তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধ্বংস করতেও প্রস্তুত। তবে তিনি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে তিনি নিজে কিছুই করছেন না... শুধুমাত্র ভগবানের প্রতিভূ হয়ে করতে হচ্ছে ।
ভবাপ্য়য়ৌ হি ভূতানাং(ম্),শ্রুতৌ বিস্তরশো ময়া
ত্বত্তঃ(খ্) কমলপত্রাক্ষ , মাহাত্ম্য়মপি চাব্যয়ম্॥2॥
কারণ হে কমললোচন ! আমি আপনার কাছে ভূতগণের উৎপত্তি ও বিনাশ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং আপনার অক্ষয় মাহাত্ম্যও জেনেছি।
ভগবানের ভক্ত হিসাবে অর্জুন বললেন -- তিনিই( ভগবান) সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা -- তিনিই দ্রষ্টা এবং তাঁর মধ্যেই বিলীন হয়ে যায় সবকিছু।
অর্জুন বলে চলেন -- তিনি যা দেখেছেন এবং যতটুকু বুঝেছেন ভগবান সম্পর্কে -- তা অতি সামান্যই। তাঁর সেই অনন্ত অস্তিত্বের ভগ্নাংশ মাত্র। বিশাল হিমবাহের উপরের অংশ দেখে বোঝা যায় না তার আকার কতটা বড়ো। কিন্তু, অভিজ্ঞ নাবিক সেই সামান্য অংশ দেখেও তার বিশালতা বুঝতে পারে । সেইভাবে অর্জুন ও তাঁর সাধারণ ভাবে থাকা বন্ধু শ্রীকৃষ্ণের বিশালতা বুঝতে পেরেছেন।
অর্জুনের কৌতূহল বহুগুণে বেড়ে গেছে এবং তিনি ভগবানের সমগ্র বিভূতি ঐশ্বর্য যা শুনেছেন তাতে তিনি শান্ত হতে পারছেন না। তিনি দেখতে চান ভগবানের ঐশ্বর্য মণ্ডিত বিশ্বরূপ।
অর্জুন বলে চলেন -- তিনি যা দেখেছেন এবং যতটুকু বুঝেছেন ভগবান সম্পর্কে -- তা অতি সামান্যই। তাঁর সেই অনন্ত অস্তিত্বের ভগ্নাংশ মাত্র। বিশাল হিমবাহের উপরের অংশ দেখে বোঝা যায় না তার আকার কতটা বড়ো। কিন্তু, অভিজ্ঞ নাবিক সেই সামান্য অংশ দেখেও তার বিশালতা বুঝতে পারে । সেইভাবে অর্জুন ও তাঁর সাধারণ ভাবে থাকা বন্ধু শ্রীকৃষ্ণের বিশালতা বুঝতে পেরেছেন।
অর্জুনের কৌতূহল বহুগুণে বেড়ে গেছে এবং তিনি ভগবানের সমগ্র বিভূতি ঐশ্বর্য যা শুনেছেন তাতে তিনি শান্ত হতে পারছেন না। তিনি দেখতে চান ভগবানের ঐশ্বর্য মণ্ডিত বিশ্বরূপ।
এবমেতদ্য়থাত্থ ত্বম্, আত্মানং(ম্) পরমেশ্বর
দ্রষ্টুমিচ্ছামি তে রূপং(ম্), ঐশ্বরং(ম্) পুরুষোত্তম॥3॥
হে পরমেশ্বর ! আপনি যে আত্মতত্ত্ব বলছেন, তা যথার্থ ; কিন্তু হে পুরুষোত্তম ! আমি আপনার জ্ঞান, ঐশ্বর্য, শক্তি, বল, বীর্য এবং তেজঃসমন্বিত ঈশ্বরীয় বিশ্বরূপ দেখতে ইচ্ছা করি।
অর্জুন ছোট্ট এক শিশুর মতো ভগবানের গুণাবলী বারবার বলে চলেছেন... বলছেন -- আপনি ই অসীম, সমস্ত জগৎ আপনাতেই উৎপন্ন । অর্জুন এ ও জানালেন যে তিনি ভগবানের সমস্ত বাক্য সত্যি বলে মেনেছেন এবং এখন তিনি তাঁর অসীম, অনন্ত ঐশ্বরিক রূপ চাক্ষুষ করতে চান।
অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে যে যে আবেগময় সম্পর্ক, তা জ্ঞানেশ্বর মহারাজ ( যিনি নিজেও একজন আত্মজ্ঞানী ঈশ্বর ছিলেন) বর্ণনা করেছেন তাঁর জ্ঞানেশ্বরী গ্রন্থে। অর্জুন আবেগে এতটাই অভিভূত যে তিনি তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই অব্যক্ত, অনন্ত রূপ দর্শনের অপেক্ষা করতে পারছেন না, ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না । শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের এরূপ আচরণে কিছুটা বিস্মিত হলেও -- তিনি তো সর্বজ্ঞ। তাই তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেখান নি। অর্জুন নিজেও বুঝতে পারছিলেন যে তাঁর অনুরোধ বেশ অস্বাভাবিক। তিনি একজন যাচক, একজন অনুসন্ধিৎসু হয়ে ভগবানের সেই মহাজাগতিক রূপ দেখার আবেদন করলেন।
অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে যে যে আবেগময় সম্পর্ক, তা জ্ঞানেশ্বর মহারাজ ( যিনি নিজেও একজন আত্মজ্ঞানী ঈশ্বর ছিলেন) বর্ণনা করেছেন তাঁর জ্ঞানেশ্বরী গ্রন্থে। অর্জুন আবেগে এতটাই অভিভূত যে তিনি তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই অব্যক্ত, অনন্ত রূপ দর্শনের অপেক্ষা করতে পারছেন না, ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না । শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের এরূপ আচরণে কিছুটা বিস্মিত হলেও -- তিনি তো সর্বজ্ঞ। তাই তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেখান নি। অর্জুন নিজেও বুঝতে পারছিলেন যে তাঁর অনুরোধ বেশ অস্বাভাবিক। তিনি একজন যাচক, একজন অনুসন্ধিৎসু হয়ে ভগবানের সেই মহাজাগতিক রূপ দেখার আবেদন করলেন।
মন্য়সে য়দি তচ্ছক্য়ং(ম্), ময়া দ্রষ্টুমিতি প্রভো
য়োগেশ্বর ততো মে ত্বং(ন্),দর্শয়াত্মানমব্যয়ম্॥4॥
হে প্রভু ! আমাকে যদি আপনার সেই বিশ্বরূপ দেখার যোগ্য বলে মনে করেন, তা হলে হে যোগেশ্বর ! আমাকে আপনার সেই অবিনাশী স্বরূপ দেখান।
অর্জুন শ্রী ভগবান কে অনুরোধ করলেন -- যদি তিনি অর্জুন কে যোগ্য মনে করেন, তাহলে যেন তাঁর সেই অনন্ত রূপ প্রকাশ করেন। অর্জুন জানতেন, যে কোন কারও কাছে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অপার রহস্য প্রকাশ করবেন না। শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিই এই অনুভূতি লাভ করতে পারেন। অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে অর্জুন তাঁর নিবেদন রেখেছেন ভগবানের কাছে। তিনি জানতেন প্রার্থনাকারীর ও অনুগ্রহ পাওয়ার যোগ্যতা থাকা উচিত।
উদাহরণ হিসেবে একটা ছোট গল্প বলা যায় । একটা চশমার দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা ছিল পড়ার জন্য চশমা পাওয়া যায় । একজন বয়স্ক মানুষ সেই দোকানে এলেন। দোকানদার তাকে একটা চশমা পরিয়ে কিছু পড়তে দিলেন । কিন্তু সেই মানুষ টি পড়তে পারলেন না । দোকানদার বিভিন্ন পাওয়ারের চশমা পরিয়েও দেখা গেল তিনি লেখা পড়তে পারেন না । শেষে জানা গেল যে তিনি অক্ষরই চেনেন না।
বহু মানুষের বিভিন্ন রকমের পেশার প্রতি আগ্রহ থাকে -- কিন্তু সেই পেশার যোগ্য না হলে তবে সেই আগ্রহ নিরর্থক। নিজের নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিৎ।
এখানে অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে যোগেশ্বর নামে অভিহিত করেছেন -- অর্থাৎ, সমস্ত যোগের যিনি গুরু বা ঈশ্বর । এই নাম দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন -- যিনি সর্বব্যাপী ও ক্ষমাশীল । ভগবান যে পাপীদের বারবার ক্ষমা করেছেন এরকম উদাহরণ আছে ।
পুতনা, কংসের মতো হিংস্রদের ও মুক্তি প্রদান করেছেন শ্রীকৃষ্ণ ... যারা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
এই কথা টা সবাই জানে ---
*"मूकं करोति वाचालं पंगुं लंघयते गिरि ।
यत् कृपा तमहं वंदे परमानंद माधवम् "*
অর্থ : সেই ভগবানের কৃপায় বোবা মানুষ ও কথা বলতে পারে এবং পঙ্গু মানুষ ও পাহাড় চূড়ায় পৌঁছে যায়।
এখানে অর্জুন খুবই কোমলভাবে ভগবানের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তিনি তাঁর বিশ্বরূপ প্রকাশ করেন---যদি তিনি মনে করেন অর্জুন সেই রূপ দর্শনের যোগ্য । অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে গভীর এক বন্ধুত্বপূর্ণ ভালবাসা ছিল। পরমেশ্বর হয়েও মানবরূপধারী শ্রীকৃষ্ণ সাধারণ মানুষের মতোই ব্যবহার করতেন। তিনি কখনো নিজের দেবত্বভাব অর্জুনের সামনে প্রকাশ করেননি। অর্জুন ও তাঁকে নিজের প্রিয় বন্ধু বলেই জানতেন । কিন্তু আস্তে আস্তে তিনি বুঝতে পারছেন তাঁর সখা শ্রীকৃষ্ণ সাধারণ মানুষ নন। তাঁর দৈব গুণ সম্বন্ধে অর্জুন সচেতন হয়ে উঠেছেন।
মহাভারতের "খাণ্ডবদহন " খুব প্রসিদ্ধ অংশ । এই পর্বের শেষে অগ্নিদেব এবং দেবরাজ ইন্দ্র -- অর্জুন ও কৃষ্ণের সামনে আবির্ভূত হয়ে বর প্রার্থনা করতে বললেন । ক্ষত্রিয় অর্জুন মহান অস্ত্রশস্ত্র প্রাপ্ত করার বর চাইলেন , এবং শক্তিশালী অস্ত্রের সাথে কপিধ্বজ নামক রথ ও প্রাপ্ত করলেন । আর শ্রীকৃষ্ণ... স্বয়ং ভগবান হয়েও ইন্দ্রদেব ও অগ্নিদেবের কাছে প্রার্থনা করলেন অর্জুনের সাথে আজীবনের বন্ধুত্ব। এইরকম অতুলনীয়, দুর্লভ বন্ধুত্ব তাঁদের মধ্যে ছিল । অর্জুনের নিষ্পাপ ও পবিত্র হৃদয়, সহানুভূতিশীল মন... এসবই তাঁকে বাসুদেব কৃষ্ণের অত্যন্ত কাছের করে তুলেছিল। তাঁর ভাষায় অর্জুন ছিলেন অনঘ ( নিষ্পাপ)
অর্জুনের মতো যারা পবিত্র ও নিষ্পাপ, ভগবান তাদেরই পছন্দ করেন। আমরা সবাই জ্ঞানী হতে চাই, ঈশ্বরের ভক্ত হতে চাই -- কিন্তু পরিশুদ্ধতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাই না নিজেকে । আমরা সবাই ভগবদগীতা পড়ছি --- গীতা থেকে শিখতে পারি কিভাবে জীবনকে শিল্পে পরিণত করা যায়। আমাদের উচিত গীতা কে আত্মস্থ করে অর্জুনের মতো শুদ্ধ হয়ে ওঠা( অনঘ) । গীতার মাধ্যমে ভগবান অর্জুন রূপ সমগ্র মানবজাতি কে উপদেশ প্রদান করেছেন।
অপাপবিদ্ধ অর্জুনের আগ্রহ ছিল ভগবানের বিশ্বরূপ দর্শন করার। যেমন কোন ক্ষুধার্ত শিশু মায়ের কাছে গিয়ে খাওয়ার বায়না করে এবং মা যেমন বাচ্চা কে খাবার না দিয়ে থাকতে পারেন না -- অর্জুনের আবেদনে ভগবান ও বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর স্বরূপ প্রকাশ করতে ।
উদাহরণ হিসেবে একটা ছোট গল্প বলা যায় । একটা চশমার দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা ছিল পড়ার জন্য চশমা পাওয়া যায় । একজন বয়স্ক মানুষ সেই দোকানে এলেন। দোকানদার তাকে একটা চশমা পরিয়ে কিছু পড়তে দিলেন । কিন্তু সেই মানুষ টি পড়তে পারলেন না । দোকানদার বিভিন্ন পাওয়ারের চশমা পরিয়েও দেখা গেল তিনি লেখা পড়তে পারেন না । শেষে জানা গেল যে তিনি অক্ষরই চেনেন না।
বহু মানুষের বিভিন্ন রকমের পেশার প্রতি আগ্রহ থাকে -- কিন্তু সেই পেশার যোগ্য না হলে তবে সেই আগ্রহ নিরর্থক। নিজের নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিৎ।
এখানে অর্জুন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে যোগেশ্বর নামে অভিহিত করেছেন -- অর্থাৎ, সমস্ত যোগের যিনি গুরু বা ঈশ্বর । এই নাম দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন -- যিনি সর্বব্যাপী ও ক্ষমাশীল । ভগবান যে পাপীদের বারবার ক্ষমা করেছেন এরকম উদাহরণ আছে ।
পুতনা, কংসের মতো হিংস্রদের ও মুক্তি প্রদান করেছেন শ্রীকৃষ্ণ ... যারা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
এই কথা টা সবাই জানে ---
*"मूकं करोति वाचालं पंगुं लंघयते गिरि ।
यत् कृपा तमहं वंदे परमानंद माधवम् "*
অর্থ : সেই ভগবানের কৃপায় বোবা মানুষ ও কথা বলতে পারে এবং পঙ্গু মানুষ ও পাহাড় চূড়ায় পৌঁছে যায়।
এখানে অর্জুন খুবই কোমলভাবে ভগবানের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তিনি তাঁর বিশ্বরূপ প্রকাশ করেন---যদি তিনি মনে করেন অর্জুন সেই রূপ দর্শনের যোগ্য । অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে গভীর এক বন্ধুত্বপূর্ণ ভালবাসা ছিল। পরমেশ্বর হয়েও মানবরূপধারী শ্রীকৃষ্ণ সাধারণ মানুষের মতোই ব্যবহার করতেন। তিনি কখনো নিজের দেবত্বভাব অর্জুনের সামনে প্রকাশ করেননি। অর্জুন ও তাঁকে নিজের প্রিয় বন্ধু বলেই জানতেন । কিন্তু আস্তে আস্তে তিনি বুঝতে পারছেন তাঁর সখা শ্রীকৃষ্ণ সাধারণ মানুষ নন। তাঁর দৈব গুণ সম্বন্ধে অর্জুন সচেতন হয়ে উঠেছেন।
মহাভারতের "খাণ্ডবদহন " খুব প্রসিদ্ধ অংশ । এই পর্বের শেষে অগ্নিদেব এবং দেবরাজ ইন্দ্র -- অর্জুন ও কৃষ্ণের সামনে আবির্ভূত হয়ে বর প্রার্থনা করতে বললেন । ক্ষত্রিয় অর্জুন মহান অস্ত্রশস্ত্র প্রাপ্ত করার বর চাইলেন , এবং শক্তিশালী অস্ত্রের সাথে কপিধ্বজ নামক রথ ও প্রাপ্ত করলেন । আর শ্রীকৃষ্ণ... স্বয়ং ভগবান হয়েও ইন্দ্রদেব ও অগ্নিদেবের কাছে প্রার্থনা করলেন অর্জুনের সাথে আজীবনের বন্ধুত্ব। এইরকম অতুলনীয়, দুর্লভ বন্ধুত্ব তাঁদের মধ্যে ছিল । অর্জুনের নিষ্পাপ ও পবিত্র হৃদয়, সহানুভূতিশীল মন... এসবই তাঁকে বাসুদেব কৃষ্ণের অত্যন্ত কাছের করে তুলেছিল। তাঁর ভাষায় অর্জুন ছিলেন অনঘ ( নিষ্পাপ)
অর্জুনের মতো যারা পবিত্র ও নিষ্পাপ, ভগবান তাদেরই পছন্দ করেন। আমরা সবাই জ্ঞানী হতে চাই, ঈশ্বরের ভক্ত হতে চাই -- কিন্তু পরিশুদ্ধতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাই না নিজেকে । আমরা সবাই ভগবদগীতা পড়ছি --- গীতা থেকে শিখতে পারি কিভাবে জীবনকে শিল্পে পরিণত করা যায়। আমাদের উচিত গীতা কে আত্মস্থ করে অর্জুনের মতো শুদ্ধ হয়ে ওঠা( অনঘ) । গীতার মাধ্যমে ভগবান অর্জুন রূপ সমগ্র মানবজাতি কে উপদেশ প্রদান করেছেন।
অপাপবিদ্ধ অর্জুনের আগ্রহ ছিল ভগবানের বিশ্বরূপ দর্শন করার। যেমন কোন ক্ষুধার্ত শিশু মায়ের কাছে গিয়ে খাওয়ার বায়না করে এবং মা যেমন বাচ্চা কে খাবার না দিয়ে থাকতে পারেন না -- অর্জুনের আবেদনে ভগবান ও বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর স্বরূপ প্রকাশ করতে ।
শ্রীভগবানুবাচ
পশ্য় মে পার্থ রূপাণি ,শতশোऽথ সহস্রশঃ
নানাবিধানি দিব্য়ানি, নানাবর্ণাকৃতীনি চ॥5॥
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন—হে পার্থ ! তুমি আমার বহুবিধ এবং নানা বর্ণ ও নানা আকৃতিবিশিষ্ট শত শত এবং সহস্র সহস্র দিব্যরূপ দর্শন করো।
শ্রী ভগবান অর্জুন কে দেখতে বললেন তাঁর অসীম রূপ, যার বিভিন্ন আকার, বিভিন্ন মাপ, বিভিন্ন বর্ণ এবং দিব্যরূপ পূর্ণ ।
পশ্য়াদিত্য়ান্বসূন্রুদান্ , অশ্বিনৌ মরুতস্তথা
বহূন্য়দৃষ্টপূর্বাণি ,পশ্য়াশ্চর্য়াণি ভারত॥6॥
হে ভরতবংশীয় অর্জুন ! তুমি আমার মধ্যে দ্বাদশ আদিত্য (অদিতির পুত্রদের), অষ্ট বসু, একাদশ রুদ্র, অশ্বিনীকুমারদ্বয় ও ঊনপঞ্চাশ মরুদ্গণ (বায়ু)কে দর্শন করো এবং পূর্বে যা কখনও দেখোনি এরূপ বহু আশ্চর্যময় রূপ দর্শন করো।
শ্রী ভগবান অর্জুন কে বললেন তাঁর মধ্যে যাঁদের অবস্থান সেই দ্বাদশ আদিত্য (অদিতির পুত্র), অষ্ট বসু, একাদশ রুদ্র এবং অশ্বিনীকুমারদ্বয় কে দেখতে। শাস্ত্রে এঁদের কে একত্রে তেত্রিশ কোটি দেবতা বলা হয়। এছাড়াও শ্রী ভগবান ধারণ করে আছেন ঊনপঞ্চাশ জন মারুদ্ গণ ও অদৃষ্টপূর্ব বহু আশ্চর্যময় রূপ।
অর্জুন ও একজন যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি স্বর্গলোক ভ্রমণ করে এসেছেন, নাগলোক ও তাঁর দেখা হয়ে গেছে । পাতাল লোকের কথা তিনি তাঁর দাদা ভীমের কাছে শুনেছেন । সেই ভূয়োদর্শী অর্জুনের সামনে শ্রীভগবান তাঁর অসীম, অনন্ত রূপ প্রকাশ করলেন।
অর্জুন ও একজন যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি স্বর্গলোক ভ্রমণ করে এসেছেন, নাগলোক ও তাঁর দেখা হয়ে গেছে । পাতাল লোকের কথা তিনি তাঁর দাদা ভীমের কাছে শুনেছেন । সেই ভূয়োদর্শী অর্জুনের সামনে শ্রীভগবান তাঁর অসীম, অনন্ত রূপ প্রকাশ করলেন।
ইহৈকস্থং(ঞ্) জগত্কৃত্স্নং(ম্),পশ্য়াদ্য় সচরাচরম্।
মম দেহে গুডাকেশ , য়চ্চান্য়দ্দ্রষ্টুমিচ্ছসি॥7॥
হে অর্জুন ! আমার এই বিরাট শরীরে একস্থানে অবস্থিত চরাচরসহ সমগ্র জগৎ অবলোকন করো এবং আরও যা কিছু তোমার দেখবার ইচ্ছা তা-ও দেখো।
শ্রী ভগবান অর্জুন কে খুব মনোযোগ সহ সবকিছু দেখতে বললেন। তিনি বললেন যাকিছু আবর্তিত হচ্ছে এবং যা কিছু স্থিতিশীল সবই তাঁর সেই মহাজাগতিক রূপের মধ্যে দেখতে পাবেন অর্জুন, এমনকি যদি আরও কিছু দেখতে চান অর্জুন তা ও সেই রূপের মধ্যে বিদ্যমান।
ভগবান এখানে অর্জুন কে গুড়াকেশ নামে সম্বোধন করেছেন । গুড়াকেশ মানে হলো নিদ্রা যাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন। গুড়াকেশ নামে তিনি অর্জুন কে স্মরণ করিয়ে দিলেন তাঁর অপরিসীম একাগ্রতার কথা । বারবার অর্জুন কে মন দিয়ে দেখার কথা বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ ।
"পশ্য" কথাটি বারবার ব্যবহার করেছেন শ্রী ভগবান । "পশ্য" কথার অর্থ হলো দেখা । অর্জুন তখন বলেছেন -- কোথায় দেখবো ? -- কি দেখবো ? কারণ একইসাথে অর্জুন বিস্মিত এবং বিভ্রান্ত । সেই বিশাল মহাজাগতিক রূপের মধ্যে তিনি কি দেখবেন তা তাঁর জানা ছিল না। আক্ষরিক অর্থে তিনি বিভ্রান্ত , বিমূঢ় ।
ভগবান এখানে অর্জুন কে গুড়াকেশ নামে সম্বোধন করেছেন । গুড়াকেশ মানে হলো নিদ্রা যাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন। গুড়াকেশ নামে তিনি অর্জুন কে স্মরণ করিয়ে দিলেন তাঁর অপরিসীম একাগ্রতার কথা । বারবার অর্জুন কে মন দিয়ে দেখার কথা বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ ।
"পশ্য" কথাটি বারবার ব্যবহার করেছেন শ্রী ভগবান । "পশ্য" কথার অর্থ হলো দেখা । অর্জুন তখন বলেছেন -- কোথায় দেখবো ? -- কি দেখবো ? কারণ একইসাথে অর্জুন বিস্মিত এবং বিভ্রান্ত । সেই বিশাল মহাজাগতিক রূপের মধ্যে তিনি কি দেখবেন তা তাঁর জানা ছিল না। আক্ষরিক অর্থে তিনি বিভ্রান্ত , বিমূঢ় ।
ন তু মাং(ম্) শক্য়সে দ্রষ্টুম্, অনেনৈব স্বচক্ষুষা
দিব্য়ং(ন্) দদামি তে চক্ষুঃ(ফ্), পশ্য় মে য়োগমৈশ্বরম॥8॥
কিন্তু তুমি নিজ চর্ম চক্ষুর দ্বারা আমার এই বিশ্বরূপ দেখতে সমর্থ হবে না ; সেইজন্য আমি তোমাকে দিব্য চক্ষু প্রদান করছি, সেই চক্ষু দ্বারা তুমি আমার ঈশ্বরীয় যোগশক্তি দর্শন করো।
শ্রী ভগবান বুঝতে পারলেন অর্জুন তাঁর সাধারণ চোখে এই দিব্য ঐশ্বরিক রূপ দর্শন করতে পারবেন না। তিনি সেকথা বললেন অর্জুন কে এবং তিনি অর্জুন কে দিব্যদৃষ্টি প্রদান করলেন যা দ্বারা অর্জুন সেই মহাজাগতিক রূপ দর্শন করতে সক্ষম হবেন ।
"যোগমৈশ্বরম্" মানে হলো রাজকীয় ঐশ্বর্য ।
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ক্ষমতা সীমিত। কোন বিশেষ কাজ করতে গেলে আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হয়। চশমা পরে নিলেই পড়তে পারেন সেটা যে নিরক্ষরের জন্য নয়... এই গল্পটা আগেই বলেছি।
শ্রী সঞ্জয় আগেই এই দিব্যদৃষ্টি লাভ করেছিলেন মহর্ষি বেদব্যাস দ্বারা। সুতরাং, তিনি তো মহাভারতের যুদ্ধের সবকিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন এবং তা বর্ণনা করছিলেন অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্র কে। তাই, তিনিও এই বিস্ময়কর মহাজাগতিক রূপ দর্শন করতে সক্ষম ছিলেন। কিন্তু অর্জুন ও সঞ্জয়ের এই দিব্যরূপ দর্শনের মধ্যে পার্থক্য হলো ... একজনের মাঠে বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা এবং অন্যজন টেলিকাস্টে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছেন... এইরকম । মাঠে বসে ম্যাচ দেখলে ৩৬০° ই ঘুরে দেখা সম্ভব কিন্তু টেলিকাস্টে শুধু ক্যামেরা যেটুকু দেখাবে সেটুকুই দেখা সম্ভব ।
পরের শ্লোকে সঞ্জয় এই অত্যাশ্চর্য রূপ কে কিভাবে দেখেছেন তা জানবো....
"যোগমৈশ্বরম্" মানে হলো রাজকীয় ঐশ্বর্য ।
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ক্ষমতা সীমিত। কোন বিশেষ কাজ করতে গেলে আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হয়। চশমা পরে নিলেই পড়তে পারেন সেটা যে নিরক্ষরের জন্য নয়... এই গল্পটা আগেই বলেছি।
শ্রী সঞ্জয় আগেই এই দিব্যদৃষ্টি লাভ করেছিলেন মহর্ষি বেদব্যাস দ্বারা। সুতরাং, তিনি তো মহাভারতের যুদ্ধের সবকিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন এবং তা বর্ণনা করছিলেন অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্র কে। তাই, তিনিও এই বিস্ময়কর মহাজাগতিক রূপ দর্শন করতে সক্ষম ছিলেন। কিন্তু অর্জুন ও সঞ্জয়ের এই দিব্যরূপ দর্শনের মধ্যে পার্থক্য হলো ... একজনের মাঠে বসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা এবং অন্যজন টেলিকাস্টে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছেন... এইরকম । মাঠে বসে ম্যাচ দেখলে ৩৬০° ই ঘুরে দেখা সম্ভব কিন্তু টেলিকাস্টে শুধু ক্যামেরা যেটুকু দেখাবে সেটুকুই দেখা সম্ভব ।
পরের শ্লোকে সঞ্জয় এই অত্যাশ্চর্য রূপ কে কিভাবে দেখেছেন তা জানবো....
সংজয় উবাচ
এবমুক্ত্বা ততো রাজন্ ,মহায়োগেশ্বরো হরিঃ
দর্শয়ামাস পার্থায় ,পরমং(ম্) রূপমৈশ্বরম্॥9॥
সঞ্জয় বললেন—হে রাজন্ ! মহাযোগেশ্বর এবং সর্বপাপনাশকারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই কথা বলে অর্জুনকে নিজের পরম ঐশ্বর্যযুক্ত দিব্যরূপ দেখালেন।
রাজা ধৃতরাষ্ট্র কে বর্ণনা দিচ্ছেন সঞ্জয়... তিনি শ্রীকৃষ্ণ কে যোগেশ্বর নামে বলেছেন, অর্থাৎ সর্ব যোগের ঈশ্বর শ্রী ভগবান অর্জুনের সামনে সেই ঐশ্বরিক, অতুলনীয় রূপ প্রকাশ করালেন।
অনেকবক্ত্রনয়নম্ ,অনেকাদ্ভুতদর্শনম্
অনেকদিব্য়াভরণং(ন্), দিব্য়ানেকোদ্য়তায়ুধম্॥10॥
সেই বিশ্বরূপ অনেক মুখ ও অনেক নেত্রযুক্ত, অসংখ্য অদ্ভুত আকৃতি বিশিষ্ট, বহু দিব্যভূষণাদি পরিহিত এবং বহু দিব্য আয়ুধে সজ্জিত,....
দিব্য়মাল্য়াম্বরধরং(ন্),দিব্য়গন্ধানুলেপনম্
সর্বাশ্চর্য়ময়ং(ন্) দেবম্, অনন্তং(ম্) বিশ্বতোমুখম॥11॥
...দিব্য মাল্য এবং দিব্য বস্ত্রে ভূষিত, দিব্যগন্ধ অনুলিপ্ত, সর্বাশ্চর্যযুক্ত, অনন্ত ও সর্বতোমুখ—সেই বিশ্বরূপ পরমদেব পরমেশ্বরকে অর্জুন দর্শন করলেন।
সঞ্জয় ভগবানের সেই রূপের বর্ণনা করছেন... তাঁর অসংখ্য মুখ, অসংখ্য চোখ... সেগুলো ততোধিক দিব্য অলংকারে ভূষিত , দিব্য অস্ত্রে সজ্জিত। এই বিস্ময়কর রূপ সর্বদিকে ব্যপ্ত... এই আকারের কোন পরিসীমা নেই ... অনন্ত এবং অপরিসীম । অসংখ্য স্বর্গীয় পুষ্পমালার সুগন্ধে ভরে আছে তাঁর শরীর । এইভাবে তিনি তাঁর অসীম রূপ প্রকাশ করলেন যা বিস্ময়কর এবং অতুলনীয়।
দিবি সূর্য়সহস্রস্য় ,ভবেদ্য়ুগপদুত্থিতা
য়দি ভাঃ(স্) সদৃশী সা স্য়াদ্, ভাসস্তস্য় মহাত্মনঃ॥12॥
সহস্র সূর্য একসঙ্গে আকাশে উদিত হলে যে প্রকাশ উৎপন্ন হয়, সেই প্রকাশও বিশ্বরূপ পরমাত্মার প্রকাশের কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে।
এরপর সঞ্জয় বলছেন ... তাঁর জ্যোতি এতো বেশি যেন হাজার সূর্যের জ্যোতি ও ম্লান হয়ে যাবে। এ একেবারেই অকল্পনীয়। আমরা একটি সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকতে পারি না... তাহলে হাজার সূর্যের মিলিত জ্যোতি কেমন হবে !!
আমরা এই জ্যোতির বর্ণনা আগে পেয়েছি । পঞ্চদশ অধ্যায়ের ১২ নম্বর শ্লোকে ---
শ্রী ভগবান বলেছেন... তিনিই সূর্যের উজ্জ্বল জ্যোতি যা সমগ্র সৌরজগত কে আলোকিত করে । চন্দ্রে এবং অগ্নিতে যে জ্যোতি বিদ্যমান তাও তাঁরই জ্যোতি।
বিজ্ঞানে আমরা পড়েছি সূর্যের এই জ্যোতি আসলে জ্বলন্ত গ্যাস । কিন্তু এই জ্বলনের শক্তি পায় কোথা থেকে ?? স্বয়ং পরমপিতা পরমেশ্বর ই এই শক্তি প্রদান করেন। যা কিছু এই জগতের তা আমরা জানি অথবা কল্পনা করতে পারি কিংবা অকল্পনীয় সবকিছুর উৎস সেই পরমেশ্বর। তিনিই সর্বময়।
ডঃ ওপেনহেইমার.... একজন আমেরিকান পদার্থবিদ... যাকে অ্যাটম বোমের জনক ও বলা হয়। তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখে বহু ভারতীয় পুরানো গ্রন্থ পড়েছিলেন। তিনি ভাগবদগীতার অনুরাগী ছিলেন । অ্যাটম বোমের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন... সেই দীপ্তি ব্যাখ্যাতীত। তিনি সেটা জ্বলন্ত সূর্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন এই শ্লোক দ্বারা ।
আমরা এই জ্যোতির বর্ণনা আগে পেয়েছি । পঞ্চদশ অধ্যায়ের ১২ নম্বর শ্লোকে ---
য়দাদিত্যগতং তেজো জগদ্ভাসয়তেऽখিলম্ ।
য়চ্চন্দ্রমসি য়চ্চাগ্নৌ তত্তেজো বিদ্ধি মামকম্ ।।
য়চ্চন্দ্রমসি য়চ্চাগ্নৌ তত্তেজো বিদ্ধি মামকম্ ।।
শ্রী ভগবান বলেছেন... তিনিই সূর্যের উজ্জ্বল জ্যোতি যা সমগ্র সৌরজগত কে আলোকিত করে । চন্দ্রে এবং অগ্নিতে যে জ্যোতি বিদ্যমান তাও তাঁরই জ্যোতি।
বিজ্ঞানে আমরা পড়েছি সূর্যের এই জ্যোতি আসলে জ্বলন্ত গ্যাস । কিন্তু এই জ্বলনের শক্তি পায় কোথা থেকে ?? স্বয়ং পরমপিতা পরমেশ্বর ই এই শক্তি প্রদান করেন। যা কিছু এই জগতের তা আমরা জানি অথবা কল্পনা করতে পারি কিংবা অকল্পনীয় সবকিছুর উৎস সেই পরমেশ্বর। তিনিই সর্বময়।
ডঃ ওপেনহেইমার.... একজন আমেরিকান পদার্থবিদ... যাকে অ্যাটম বোমের জনক ও বলা হয়। তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখে বহু ভারতীয় পুরানো গ্রন্থ পড়েছিলেন। তিনি ভাগবদগীতার অনুরাগী ছিলেন । অ্যাটম বোমের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন... সেই দীপ্তি ব্যাখ্যাতীত। তিনি সেটা জ্বলন্ত সূর্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন এই শ্লোক দ্বারা ।
তত্রৈকস্থং(ঞ্)জগত্কৃত্স্নং(ম্), প্রবিভক্তমনেকধা
অপশ্য়দ্দেবদেবস্য় ,শরীরে পান্ডবস্তদা॥13॥
পাণ্ডুপুত্র অর্জুন সেই নানা ভাগে বিভক্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে দেবাদিদেব ভগবান একস্থানে অবস্থিত দেখলেন।
এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে তাঁর সেই অসীম শরীরের মধ্যে বিভিন্ন স্বর্গীয় বস্তু দৃশ্যমান । সমগ্র মহাবিশ্ব ই তাঁর দেহে বিদ্যমান ।
এই শ্লোক গুলো পড়তে পড়তে আমাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়। এই অধ্যায় খুবই সুন্দর । যতই আমরা এই গ্রন্থের গভীরে যাবো ততই চমৎকৃত হয়ে যাবো । দৈব দৃশ্য বর্ণনা পড়ে এবং অনুভব করে আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে যাবো। এরপর আরও অনেক সুন্দর বর্ণনা আমরা পাবো।
এই শ্লোক গুলো পড়তে পড়তে আমাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়। এই অধ্যায় খুবই সুন্দর । যতই আমরা এই গ্রন্থের গভীরে যাবো ততই চমৎকৃত হয়ে যাবো । দৈব দৃশ্য বর্ণনা পড়ে এবং অনুভব করে আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে যাবো। এরপর আরও অনেক সুন্দর বর্ণনা আমরা পাবো।
ততঃ(স্) স বিস্ময়াবিষ্টো, হৃষ্টরোমা ধনংজয়ঃ
প্রণম্য় শিরসা দেবং(ঙ্), কৃতাঞ্জলিরভাষত॥14॥
এরপর বিস্ময়াবিষ্ট রোমাঞ্চিত অর্জুন বিশ্বরূপধারী ভগবানকে শ্রীকৃষ্ণের শরীরে শ্রদ্ধা-ভক্তিসহ নতমস্তকে প্রণাম করে করজোড়ে বললেন।
এই শ্বাসরোধকারী দৃশ্য দেখে অর্জুন বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে শ্রী ভগবানের সামনে নত হয়ে প্রণাম করলেন ।
এই শ্লোক গুলো পড়েই আমাদের মন আনন্দে ভরে যায় । তাহলে আমরা কল্পনা করতে পারি অর্জুন কতটা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন । তিনি সামনে থেকে এই দিব্য রূপ প্রত্যক্ষ করছেন। আর সঞ্জয় দূর থেকে দিব্যদৃষ্টির মাধ্যমে এই রূপ দর্শন করেছেন। তাই দুজনের বর্ণনা একটু আলাদা । যাইহোক, দুটি বর্ণনাই মহিমান্বিত এবং আনন্দদায়ক।
প্রশ্নকর্তা - বিমলা জী
প্রশ্ন - মোহোऽয়ং বিগতো মম -- এই কথাগুলোর মানে কি ?
উত্তর :- এর অর্থ হলো... আমার মোহ দূর হয়েছে। এর আগে অর্জুন বলেছেন -- "য়ত্ত্বয়োক্তং বচস্তেন" -- যার মানে হলো -- আপনি যে তত্ত্ব প্রকাশ করলেন। সম্পূর্ণ এই লাইন টা র অর্থ হলো -- আপনার অধ্যাত্ম তত্ত্ব শুনে আমার মোহ দূর হয়েছে ।
ঈশ্বর কে প্রণাম জানিয়ে এই বিবেচন সত্র এখানে সমাপ্ত হলো ।
এই শ্লোক গুলো পড়েই আমাদের মন আনন্দে ভরে যায় । তাহলে আমরা কল্পনা করতে পারি অর্জুন কতটা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন । তিনি সামনে থেকে এই দিব্য রূপ প্রত্যক্ষ করছেন। আর সঞ্জয় দূর থেকে দিব্যদৃষ্টির মাধ্যমে এই রূপ দর্শন করেছেন। তাই দুজনের বর্ণনা একটু আলাদা । যাইহোক, দুটি বর্ণনাই মহিমান্বিত এবং আনন্দদায়ক।
:: প্রশ্নোত্তর পর্ব ::
প্রশ্নকর্তা - বিমলা জী
প্রশ্ন - মোহোऽয়ং বিগতো মম -- এই কথাগুলোর মানে কি ?
উত্তর :- এর অর্থ হলো... আমার মোহ দূর হয়েছে। এর আগে অর্জুন বলেছেন -- "য়ত্ত্বয়োক্তং বচস্তেন" -- যার মানে হলো -- আপনি যে তত্ত্ব প্রকাশ করলেন। সম্পূর্ণ এই লাইন টা র অর্থ হলো -- আপনার অধ্যাত্ম তত্ত্ব শুনে আমার মোহ দূর হয়েছে ।
ঈশ্বর কে প্রণাম জানিয়ে এই বিবেচন সত্র এখানে সমাপ্ত হলো ।